শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করেন ড. ইউনূস। বলেন, যারা শহীদ হয়েছে আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারতো। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ যেন পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়- শিক্ষার্থীদের সেই সুযোগ কাজে লাগানোর কথাও জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দেখছি আর ভাবছি, কী একটা স্বপ্ন আমাদের সামনে, জাতির সামনে তোমরা নিয়ে এসেছ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এই সুযোগ আর আসেনি। যে সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ, এটা যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাত ছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না। এটা শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্রে যেন পরিণত হয়।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় হতাহতদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন ড. ইউনূস। এ সময় কাঁদতেও দেখা যায় তাকে। মতবিনিময় সভায় ড. ইউনূসসহ অন্যদের উপস্থিত আহত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে কথা বলতে এবং খোঁজখবর নিতে দেখা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হাসপাতালে আহতদের দেখার জন্য যাই, তাদের দিকে তাকাতে কষ্ট হয়। একজন তরুণকে যখন দেখতে যাই তখন সে জিজ্ঞেস করে স্যার, ক্রিকেট খেলব কীভাবে? ক্রিকেট খেলার কথা তার মাথা থেকে সরছে না।
তিনি বলেন, যতবার দেখি মনে প্রশ্ন জাগে- এটাই আমরা বাংলাদেশ বানিয়েছি? কালকে একটা হাসপাতালে গেলাম, আবার সেই দৃশ্য। তরুণ প্রাণ, অনেকের মাথার খুলি উড়ে গেছে। অনেকের শরীরে গুলি রয়ে গেছে। বেঁচে আছে।