ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষে নয়, বরং শেখ হাসিনার ‘জমিদারি’ ফেরত দিতে কাজ করছে—এমন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার দেশের কমান্ডোদের সঙ্গে বৈঠক করেছে, এটা উদ্বেগজনক নয়, তবে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এটা উসকানি কি না। ভারত কি শেখ হাসিনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য, তার জমিদারি পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে? তাহলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভাবে কথা বলছেন কেন? ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশ থেকে এক দানবকে তাড়িয়ে মুক্ত বাতাসে চলাফেরা করছে। আমি যে গ্রেফতার হতে পারি, গুম হতে পারি এ শঙ্কা আর নেই। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে, শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। এটা কি আপনারা চাচ্ছেন না? বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষ শান্তিতে থাকুক, এটা কি ভারতের নীতি নির্ধারকরা পছন্দ করে না? আমরা যেমন ভারতের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করি। ভারতের উচিত আমাদের স্বাধীনতা সর্বভৌমত্বকেও শ্রদ্ধা করা। রিজভী বলেন, বাংলাদেশ যে একটি বীরের জাতি এটা ভারতের মাথায় রাখতে হবে।